চলতি বছরের শেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এটা বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট। আজ ৭ জুন ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বিশাল এ বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এটি তার ব্যক্তিগত ১২তম বাজেট ও টানা দশম। স্বাধীন বাংলাদেশের আর কোনো অর্থমন্ত্রী টানা এতবার বাজেট ঘোষণার রেকর্ড গড়তে পারেননি। সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে এমন কোনো উদ্যোগ থাকছে না এবারের বাজেটে। তাই এবারের বাজেটে উল্লেখযোগ্য কোনো খাতে করের হার বাড়ানো হচ্ছে না। বরং তামাকপণ্য ও মোবাইল অপারেটর ছাড়া অন্য সবার ক্ষেত্রে করপোরেট কর ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তবে বাড়বে না ব্যক্তিগত করের আয়সীমা। দ্রুত দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে বাড়ছে সামাজিক সুরক্ষার আওতা। নতুন বাজেটের সারসংক্ষেপ ঘেঁটে জানা গেছে, বিশাল ব্যয়ের এ বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয় ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা। সে হিসাবে এবারের বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হচ্ছে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। এবারের বাজেটের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’। এ বাজেট হবে চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ৬৪ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা বেশি। অবশ্য সংশোধিত বাজেট (২০১৭-১৮) চলতি বছর ৩ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় নতুন বাজেটের আকার ৯৩ হাজার ৭৮ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, নতুন বাজেটে জনগণের জন্য এটাই সবচেয়ে খুশির খবর যে, নতুন কোনো করারোপ করা হচ্ছে না। কর কর্মকর্তাদের মানসিকতা পরিবর্তনের পাশাপাশি করদাতাদের হয়রানি কমাতে আইন-কানুন সংশোধন করা হয়েছে। তরুণরা করদানে উৎসাহিত হচ্ছে। তাই করহার না বাড়ালেও নতুন অর্থবছরে বাড়তি করের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে তার আশা।
জিডিপি ৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ৫ দশমিক ৬ শতাংশ : অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বলছে, কয়েক বছর ধরে দেশে কর্মসংস্থান কাঙ্ক্ষিত হারে না বাড়লেও উচ্চতর প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে বলে মনে করে সরকার। এজন্য চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মূল বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী। আর নির্বাচনের পর অর্থৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা দেখছে সরকার। এর জন্য বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারি খাতের বিনিয়োগকে আরও চাঙা করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এদিকে চলতি অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়ায় সংশোধিত বাজেটে তা কিছুটা বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ প্রাক্কলন করতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে নতুন অর্থবছরে তা ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা থাকছে আজকের বাজেটে। আগামী বছরে সব ধরনের দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করছে সরকার।
চলতি বাজারমূল্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মূল বাজেটে জিডিপির আকার ধরা হয়েছিল ২২ লাখ ২৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকায়। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের ভিতরে যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হয়েছে তার মোট আর্থিক মূল্য এটি। আগামী অর্থবছরে জিডিপির আকার বেড়ে ২৫ লাখ ৩৭ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা হবে বলে প্রাক্কলন করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বাজেটে আয়ের খাত : বরাবরের মতো এবারও আয়ের প্রধান খাত রাজস্ব। বিশাল ব্যয়ের বাজেটের অর্থের সংস্থান করা হবে অভ্যন্তরীণভাবেই। এবারের বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। ফলে এনবিআরের রাজস্বের টার্গেট ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৯৬ হজার ২০১ কোটি টাকা। চলতি বছর এ লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। যদিও সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ২ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা করা হয়। চলতি বছর এনবিআর লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে বলে জানানো হয়েছে। এর বাইরে কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। এনবিআরবহির্ভূত আয় ধরা হচ্ছে ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। আর আগামী বছর আশা করা হচ্ছে বৈদেশিক অনুদান আসবে ৪ হাজার ৫১ কোটি টাকা। বিশাল পরিমাণ এ রাজস্ব আদায়ে এনবিআরের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশের ২০০ উপজেলায় কর অফিস স্থাপন করা হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাকি সব উপজেলায় কর অফিস স্থাপন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এ বাজেট বাস্তবায়নে একদিকে বিশাল অঙ্কের রাজস্ব আদায় করতে হবে সরকারকে, অন্যদিকে করকাঠামোয় খুব একটা পরিবর্তন আনছে না সরকার। মনে করা হচ্ছে, এনবিআরের যে সক্ষমতা রয়েছে তার মাধ্যমেই বিশাল এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে। এ ছাড়া বাজেটের বিশাল আকারের ঘাটতি অর্থায়ন করতে সরকার ব্যাংক খাতকে বেছে নিয়েছে প্রধান ঘাটতি অর্থায়নকারী হিসেবে। এজন্য ব্যাংক থেকে ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২৯ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। জাতীয় সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে। অবশ্য চলতি বাজেটে ২৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে তা ১৯ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। অবশ্য এখন পর্যন্ত ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি নিতে হয়নি সরকারকে; যা গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ব্যয়ের খাত : এডিপি : নির্বাচন সামনে রেখে গ্রামীণ রাস্তাঘাট সংস্কারসহ মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি আনতে চায় সরকার। এজন্য আগামী বাজেটের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে এডিপিবহির্ভূত বিশেষ প্রকল্পে ৪ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা, কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচিতে ১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা, অন্যান্য স্কিমে ৩২৭ কোটি টাকাসহ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে মোট ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা ব্যয় প্রাক্কলন করা হচ্ছে নতুন বাজেটে। বাজেটে সরকারের পরিচালন ব্যয় ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। চলতি বছরের মূল বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯ হাজার ১৪২ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। এদিকে নতুন বাজেটে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি কর্মচারীদের দেওয়া ঋণ পরিশোধে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৩০ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকা।
করকাঠামো : অর্থ মন্ত্রণালয়সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর করকাঠামোয় খুব একটা পরিবর্তন আনবে না সরকার। শুধু ব্যবসায়ীদের দাবি গ্রাহ্য করে করপোরেট করহার ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হচ্ছে। তবে তামাকপণ্য ও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে না। পাশাপাশি ব্যক্তিগত করের আয়সীমাও থাকবে আগের মতোই। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ভ্যাটকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জনগণের ওপর বাড়তি কর, ভ্যাট আরোপ করতে চান না অর্থমন্ত্রী। কিছু বিলাস পণ্যে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। ভ্যাটের স্তর নয় থেকে পাঁচে নামিয়ে আনা হচ্ছে বাজেট প্রস্তাবে। এতে কিছু পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে সামান্য হারে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ছে।
বাড়ছে সামাজিক সুরক্ষার আওতা : জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে নতুন করে ১১ লাখ মানুষকে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে যোগ করা হবে। পরের দুই বছরে আরও প্রায় ৪০ লাখ মানুষ এ কর্মসূচির আওতায় আসবে। বর্তমানে এ কর্মসূচির আওতায় রয়েছে ৭৫ লাখেরও বেশি দরিদ্র মানুষ। সে হিসাবে আগামী বছর উপকারভোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৮৬ লাখে। আর সারা দেশে বর্তমানে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৩ কোটির ওপরে। এই দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সুবিধা দিতে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে ১০ শতাংশ হারে। আগামী বছর এ কর্মসূচির আওতায় সব ধরনের উপকারভোগীর সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে অন্তত ১০ শতাংশ হারে। একই হারে বাড়বে ভাতার পরিমাণও। এ কর্মসূচির উপকারভোগীদের হয়রানি রোধে সব ধরনের কার্যক্রম অনলাইন ডাটাবেজের মাধ্যমে করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটার তুষ্টিতে বাজেটে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি। এজন্য এবারের বাজেটে বয়স্ক ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, গর্ভবতী মায়েদের ভাতা, হিজড়া ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ভাতাসহ প্রায় সব ধরনের ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে।
বাড়ছে বাজেট ঘাটতি : বড় অঙ্কের ঘাটতি রেখে প্রণয়ন করতে হচ্ছে আগামী বছরের বাজেট। নতুন ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি রাখা হচ্ছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। অবশ্য বাজেটে ৪ হাজার ৫১ কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। ওই অনুদান পাওয়া গেলে ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ২১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছিল ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা, সংশোধিত বাজেটে তা সামান্য কমিয়ে ১ লাখ ১২ হাজার ৪১ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই এ ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশ। আজ ঘোষণা হতে যাওয়া নতুন বাজেটে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকার ঘাটতি মেটাতে অর্থমন্ত্রী বৈদেশিক উৎস থেকে মোট ৬০ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তা থেকে আবার ১০ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা বিদেশি ঋণ পরিশোধে খরচ করা হবে। ফলে সরকারের নিট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০ হাজার ১৬ কোটি টাকা।
বাজেট বক্তৃতায় নতুন বিষয় থাকছে দুটি : অর্থমন্ত্রীর এবারের বাজেট বক্তৃতায় দুটি নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ও ব্যাংক সংস্কার কমিশন গঠন। সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতের চাকরিজীবীদের স্বস্তি দিতে এবার তিনি সর্বজনীন পেনশন স্কিমের একটি রূপরেখা তুলে ধরবেন আজ। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম-দুর্নীতিতে ডুবতে থাকা ব্যাংকিং খাতকে রক্ষার জন্য একটি স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠনের ঘোষণা দেবেন। তবে বাজেটের পর জুনের মধ্যেই এর প্রকৃত রূপরেখা দেবেন অর্থমন্ত্রী।